এই ফন্ট না হলে লেখার উদ্দেশ্য
বোঝা যাবে না
বিনামূল্যে ফন্ট ডাউনলোড লিংক--
অহনলিপি-বাংলা১৪ ইউনিকোড ফন্ট প্যাকেজ ডাউনলোড লিংক:
ডাউনলোড করা এই ইউনিকোড ফন্ট প্যাকেজের মধ্যে আছে ইউনিকোড ফন্ট(কম্পিউটারে লেখার হরফসমূহ) AhanLipi-Bangla14.ttf , তার উপরে ক্লিক করলে ফন্ট ইনস্টল হয়ে যাবে সঙ্গে কিবোর্ড(setup.exe) দেওয়া আছে তাতে ক্লিক করলে কিবোর্ড ইনস্টল হয়ে যাবে কিবোর্ড দিয়ে সহজে লিখতে পারবেন
যুক্তবর্ণ স্বচ্ছ, সহজ সঙ্গে কিবোর্ডের নক্সা দেওয়া আছে
অন্যান্য ফন্টও ডাউনলোড করে নিন
এই ফন্ট না হলে লেখার উদ্দেশ্য বোঝা যাবে না
সঙ্গে দেওয়া ফাইল দেখে নিতে হবে
অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default text font setting)
Default text font setting ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
(bottom right) click on down arrow head
Default input Language
Bengali(India)--Bn14
Installed Services
(move up)--BN Bengali(India)--Keyboard--Bn14
EN English
-->OK
→→→→→ (Display) → Clipboard--Font--Paragraph--Styles--Editing
(right corner) styles
Normal--right click
Modify
Modify style
Normal
formatting
AhanLipi-Bangla14=11point
all script/complex
New documents Based on this template
Format
Font
Latin text
Font
AhanLipi-Bangla14, Regular =11point
Complex scripts
Font
AhanLipi-Bangla14, Regular =11point
-->OK
-->OK
এবারে টেক্সটে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ AhanLipi-Bangla14 ফন্টে সকল কিছু লেখা যাবে
এবং
অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট ফন্ট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet font setting)
Default Internet font setting ডিফল্ট ইন্টারনেট ফন্ট সেটিং
(top left) Tools
Options > contents
Fonts & Colors
Default font:=AhanLipi-Bangla14
Advanced...
Fonts for: =Bengali
Proportional = Sans Serif, Size=20
Serif=AhanLipi-Bangla14
Sans Serif=AhanLipi-Bangla14
Monospace=AhanLipi-Bangla14, Size=20
-->OK
Languages
Choose your preferred Language for displaying pages
Choose
Languages in order of preference
Bengali[bn]
-->OK
--> OK
এবারে ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে নেটে একই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে
চার প্রজন্মের বাংলা লিখন
চার প্রজন্মের বাংলা লিখন
চার প্রজন্মের বাংলা লেখা
মনোজকুমার
দ. গিরিশ
বাংলার লিখন কারিগরি এগিয়েছে অনেক এখন
চলছে বাংলা ফন্টের, মানে কম্পিউটারে বাংলা লেখার হরফের প্রথম প্রজন্ম সাধারণভাবে
আমরা যেমন লিখি, সেই লেখাই হল প্রথম প্রজন্মের লেখা, যেমন-- ‘ম—ও, প—এ, কক্ষ,
জ্ঞান’ ইত্যাদি ধরণের হরফের সঙ্গে হরফ মিলিয়ে দলা পাকিয়ে যেভাবে লেখা হয়, সেটাই হল
প্রথম প্রজন্মের লেখা —ও, —এ-- দেখে মনে হয় যেন স্বরবর্ণ ‘ও’, এবং স্বরবর্ণ ‘এ’
লিখে তার উপরে মাত্রা দেওয়া হয়েছেএ নিয়ে বিস্তারিত বলার দরকার নেই কারণ সেভাবেই
তো আমরা লিখি
বাংলা লেখার সেই লিখন কারিগরি অনেক
এগিয়েছে, যথা-- দ্বিতীয় প্রজন্ম, তারপরে তৃতীয় প্রজন্ম, এবং অবশেষে চূড়ান্তভাবে
চতুর্থ প্রজন্ম ফলে বাংলা লিখন কারিগরি, লেখার ব্যাপার নিয়ে বাংলা অনেক কিছু বাধা
পেরিয়ে গেছে
বাংলা দ্বিতীয় প্রজন্মের নতুন ফন্টে
লেখা-- যৌক্তিকভাবে ইংরেজি লিখনকে ছাপিয়ে গেছে এ নিয়ে বিস্তারিত জানতে হলে দেখতে
হবে লিংক:
http://banglamoy.blogspot.in/2014/10/blog-post.html
http://banglamoy.blogspot.in/2014/10/blog-post.html
এ ছাড়া, আরও অনেক জরুরি তথ্য সামনে এসেছে
তা হল যুক্তবর্ণ আর দলা পাকিয়ে মণ্ডহরফ করে লিখতে হবে না বাংলায় যতগুলি যুক্তবর্ণ
আছে তার হিসেব এবং তালিকা পাওয়া গেছে পাওয়া গেছে তার মধ্যে কোন্গুলি
সান্দ্রধ্বনি তথা অবিভাজ্য-যুগ্মধ্বনি তার হিসেব সাধারণ ভাবে বাংলায় যু্ক্তবর্ণ
হল-- ৩৯৫টি এর মধ্যে অবিভাজ্য-যুগ্মধ্বনি বা সান্দ্রধ্বনি হল ৫৬টি ‘বিস্তর’
লেখা/বলা চলে বিস্তর, কিন্তু ‘ম্লান, প্রথম, স্তর, স্তব’-- বলায় ম্লান, প্রথম,
স্তর, স্তব এভাবে বলা/লেখা যাবে না এগুলিই সান্দ্রধ্বনি
বাংলায় যুক্তবর্ণ হয় দুই বর্ণ মিলে(২১১),
তিন বর্ণ মিলে(১৬৮), এবং চার বর্ণ মিলে(১৬) এর বেশি বর্ণ নিয়ে বাংলায় যুক্তবর্ণ
হয় না যুক্তবর্ণ সরল করে লিখবার দুটি সূত্র তৈরি হয়েছে, যার ফলে যুক্তবর্ণ লেখার
প্রক্রিয়া সহজ হয়েছে,আর যুক্তবর্ণ লেখা সহজ মানে ভাষাশিক্ষা সহজ--
(১)-- ক্ক, চ্ছ, জ্জ, ট্ট, ড্ড, ণ্ণ, ত্ত,
দ্দ, দ্ধ, ন্ন, প্স, ফ্ল, ভ্ল, ম্ল, শ্ম, ষ্ট, স্প, হ্ন
(২)-- ক্ষ্ণ, ক্ষ্ম, ঙ্ক্ষ, চ্ছ্ব, জ্জ্ব, ত্ত্ব, দ্দ্ব, দ্ধ্ব, ন্ত্ব, ন্দ্ব, ষ্ক্ব, স্ত্ব, স্প্ল
(২)-- ক্ষ্ণ, ক্ষ্ম, ঙ্ক্ষ, চ্ছ্ব, জ্জ্ব, ত্ত্ব, দ্দ্ব, দ্ধ্ব, ন্ত্ব, ন্দ্ব, ষ্ক্ব, স্ত্ব, স্প্ল
এখানে দেখানো C মানে হল Consonant. আর চারবর্ণের
মিলন প্রকৃতপক্ষে তিনবর্ণেরই হেরফের, তাই এই দুটি সূত্রেই সব কাজ চলবে মোটামুটি
বাংলা হরফপরিচয় হলেই সহজে বাংলা লেখা যাবে, এবং বাংলা পড়া যাবে
এই ফন্টে লিখবার জন্য এর কিবোর্ড এতটাই
সহজ হয়েছে যে, কিবোর্ডের কিছুমাত্র
না-জেনেই
লেখা যাবে-- সুকুমার সেন, পরিমল দাস, দাদা, দিদি, পিসি, বুয়া, কুলসুম, ময়না,
জন
বুল, পিয়ারসন, হরেক মাল, কয়েক দিন, গান-বাজনা, সুর
বাংলায় সাধারণভাবে কতটা বানান ভুল হয়?
পাওয়া গেছে তার হিসেব কোন্ হরফের
বা
বর্ণধ্বনির জন্য বানান ভুল কতটা হতে পারে পাওয়া গেছে তারও হিসেব বাংলায়
যুক্তবর্ণের ব্যবহার কত তার হিসেব, ফলা কত শতাংশ ব্যবহার হয় তারও হিসেব পাওয়া
গেছে যেমন দেখা যায়, বাংলায় সাধারণভাবে বানান ভুল হয় ৩১.৭৬%শতাংশ,অর্থাৎ সোজা করে
বললে, তিনটে হরফ লিখলে তার একটা ভুল হতে পারে! অভ্যাস ও প্রয়াসের ফলে এত ভুল অবশ্য
হয় নাএকটি শব্দ ‘সবিশেষ’ এর বানান হতে পারে ১০৮ রকম, অর্থাৎ ৩×২×২×৩×১×৩=১০৮টি(স=৩,
ি=২ ব=২, শ=৩, ে=১, ষ=৩) বানান ভুলের চার ভাগের এক-ভাগ ভুলই হয় ই/ঈ, ি/ী জনিত
কারণে
জানা গেছে বাংলায় সাধারণভাবে কোন্ বর্ণ
কতবার ব্যবহৃত হয়, তথা বর্ণ ব্যবহারের তুলনাংক যেমন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত বর্ণ ‘র’,
প্রায় তা ১০.৩৭শতাংশ অর্থাৎ বাংলা বর্ণ ব্যবহারের দশভাগেরও বেশি ব্যবহৃত হয় একা
‘র’ বর্ণটি বাংলায় আছে চারটি বিন্দুযুক্ত বর্ণ-- র, ড়, ঢ়, য় এর র,ড়,য় বর্ণগুলির
ব্যবহার বেশি, ‘র’ তো সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত বর্ণই ফলে প্রত্যেক লাইনে একাধিক
বিন্দুযুক্ত বর্ণব্যবহার দেখা যায় আর হাতে করে লেখার সময়ে বিন্দু দিতে কলম তুলতে
হয়, এতে লেখার ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হয়, সময় বেশি লাগে বিন্দু না পড়লে ভুলের আশংকা
থেকে যায়, কিংবা ‘ব’-এ বিন্দু পড়ে গেলে তা ‘র’ হয়ে গিয়ে ভুল হয়
বর্ণতুলনাংক থেকে স্পষ্ট বোঝা যাবে কোন্
কোন্গুলি বাংলা মৌলিক বর্ণধ্বনি এবং কোন্গুলি নয় বাংলা বানান সংস্কারে এই তথ্য
নানাভাবে সহায়তা করবে ভাষাবিজ্ঞানী বলেছেন, “সংস্কৃতে /ঋ/(হ্রস্ব ও দীর্ঘ)/ ... /ঌ/ পশ্চাৎ স্বরধ্বনিরূপে উচ্চারিত হত
মধ্যভারতীয় আর্যস্তরেই এই ধ্বনিগুলি স্বররূপে লুপ্ত” (বাংলাভাষার আধুনিকতত্ত্ব ও
ইতিকথা, দ্বিজেন্দ্রনাথ
বসু) মধ্যভারতীয় আর্যস্তর হল বাংলাভাষার জন্মের আগের ব্যাপার আমাদের বর্ণমালায়
কিন্তু সেসব এখনও জোরালোভাবেই বজায় আছেবাংলার অতিদূর গোষ্ঠী-সম্পর্কিত ভাষা হল সংস্কৃত “সংস্কৃতকে বাংলার
অতি-অতি-অতি-অতি-অতি-অতিবৃদ্ধ প্রপিতামহী বলি”-- হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
বাংলা লেখা সাধারণভাবে তিন স্তরীয়, অর্থাৎ
3-tier
,
তিন তলা যেমন-- খর্জুর এখানে জ-বর্ণটির উপরে রেফ, এবং তলায় উ-কার দেওয়া হয়েছে
ফলে লেখাটি হয়েছে তিন তলা লিখতে এবং ছাপতে জায়গা লাগছে সাধারণ হরফের উচ্চতার দ্বিগুণ
উপরের রেফ=০.৫, জ=১, নিচের উ-কার=০.৫, সব মিলে ০.৫+১+০.৫=২গুণ খাড়াই
শুধুমাত্র সাধারণ হরফ সহযোগে যদি লেখাও
হয়, যেমন --অমল, কমল, ভবন, লবণ তবুও লেখার জন্য মুদ্রণ-উচ্চতা কিন্তু দ্বিগুণই
রাখতে হবে, স্বরচিহ্ন বা ফলা চিহ্ন কোথাও ব্যবহৃত হতে পারে, তার জন্য আগাম
ব্যবস্থা রাখতে হবে নইলে লেখা যাবে না শিশু কী পান করে বর্ধিত হবে, প্রকৃতি যেমন
তার আগাম ব্যবস্থা রাখে
শুধুমাত্র সাধারণ হরফ ব্যবহার করে বাংলা
শব্দ লেখা হয় কমই, তাই তিন তলার জন্য জায়গার ব্যবস্থা না-রেখে বাংলা লেখা বা ছাপা
যায় না টিভিতে চলমান শব্দ-পংক্তি দেখলে ব্যাপারটা বেশ স্পষ্ট হবে লাইনের উচ্চতা
কমালে হরফের উপর-নিচ কেটে গিয়ে পড়া যাবে না, কিংবা নির্দিষ্ট উচ্চতার মধ্যে লেখা
ধরাতে হলে, হরফের মূল উচ্চতা কমাতে হবে, ফলে বোধ্যতা (Legibility) কমে যাবে পড়া কঠিন হবে
ইংরেজি লেখা কিন্তু এক তলা, আর হরফ
পাশাপাশি পর পর বসিয়ে লেখা হয় ফলে ইংরেজি লিখতে, পড়তে সুবিধে তাই বিশ্বজুড়ে
ইংরেজি লেখার কদর অবশ্য ইংরেজি লেখার যে রোমান লিপি, তার গঠনও খুব সরল
বাংলা লেখা দ্বিতীয় প্রজন্মের হলেও লেখায় তা
ত্রি-স্তরীয়ই থাকবে, তবে যুগ্মহরফ বা দলাপাকানো মণ্ডহরফ/হরফমণ্ড সরল হবে, স্বচ্ছ
হবে ফলে খুব সহজে তা পড়া যাবে
তৃতীয় প্রজন্মে গিয়ে বাংলা লেখা ত্রিস্তর
থেকে কমে হবে দুই তলা বা দ্বিস্তর আর লেখার কারিগরি কৌশলও অনেক পালটে যাবে
চতুর্থ প্রজন্মের লিখন কারিগিতে পৌঁছে
বাংলা লেখা হবে ইংরেজির মতোই এক-স্তরীয় (Monotier), এবং হরফ কেবল
পাশাপাশি পর পর বসিয়ে লেখা যাবে লেখার কৌশলও আরও অনেকটা পালটে যাবে
এসব যখন কার্যক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে
তখন বাংলা সহজে লেখাও যাবে, সহজে পড়াও যাবে, মোটামুটি হরফ পরিচয় হলেই বাংলা লেখা
সহজে পড়া যাবে, আর কম্পিউটারে সহজে লেখাও যাবে তখন বানানও সরল হবে, ফলে বানান
ভুলও আর প্রায় হবে না অনায়াসে মনের আনন্দে তখন বাংলা সহজে লেখাও যাবে, সহজে পড়াও
যাবে আনন্দময় সে দিনের অপেক্ষায় রয়েছে বাংলার ভাষা এবং লিখন কারিগরি
তবে সবকিছু একবারে, একত্রে সংস্কার করার
কোনও চেষ্টা করা হবে না, তেমন হলে সব প্রয়াসই ভণ্ডুল হয়ে যাবে তখন বাংলাভাষা আর
চেনাই যাবে না তেমন দুর্ঘট তৈরি করা তো আমাদের উদ্দেশ্য নয় তাই বুঝে সাবধানে পা
ফেলতে হবে হঠকারী কোনও চেষ্টা/চিন্তার স্থান নেই অতীব সামান্য সংস্কার করে তা
দীর্ঘ দশ বছর ধরে ব্যবহার করে সেটি সম্পূর্ণ আত্মস্থ হলে, তবে পরবর্তী পরিবর্তনে
যাওয়া হবে কালকেই একবারে সব পালটে ফেলা হবেনা, তেমন অতি-উৎসাহ বাংলাভাষার পক্ষে
বরং ক্ষতিকর হবে
এমন ফন্ট(কম্পিউটারে লেখার হরফ) তৈরি
হয়েছে,যা দিয়ে সাধারণ লিখনও লেখা যাবে, আবার অগ্রগত রীতিতেও লেখা যাবে, লিখন হবে
একস্তরসেটি বিন্দুনির্মিত ফন্ট, তাই অন্য ফন্ট থেকে পার্থক্য করা যাবে সহজেই লিপি
বা ফন্ট দুটির মধ্যে একটি হল-- অর্ণবীলিপি-বাংলা১৪, এবং অন্যটি হল, নীরবিন্দু-বাংলা১৪
যেমন--
উইকিপিডিয়াউইকিপিডিয়া
ঝিলিমিলিঝিলিমিলি
প্রজন্ম/প্রজন্ম
|
লিখন/লিখন
|
স্তর/স্তর
|
১ম প্রজন্ম/১ম
প্রজন্ম
ম—ও, প—এ, পক্ষ, জ্ঞান, খর্জুর
|
ম—ও, প—এ,
পক্ষ, জ্ঞান, খর্জুর
|
এক-স্তর
(Monotier)
|
২য় প্রজন্ম/২য়
প্রজন্ম
মত্ত, পত্র,
পক্ষ/পক্ষ, জ্ঞান/জ্ঞান
|
মত্ত, পত্র, পক্ষ/পক্ষ, জ্ঞান/ জ্ঞান
|
”
|
৩য় প্রজন্ম/৩য়
প্রজন্ম
প্রথম, তক, (ইচ্ছে=)ইচ্ছ, (মুচ্ছো=)
মুচ্ছৗ
|
প্রথম, তক,
(ইচ্ছে=)ইচ্ছ,
(মুচ্ছো=)মুচ্ছৗ
|
”
|
৪র্থ প্রজন্ম/৪র্থ
প্রজন্ম
(বাচিক=ব্আচ্ইক,ঝোঁক=ঝ্ওঁক,
সম্ভ্রান্ত=শম্ভ্আন্ত)
|
(ব্আচ্ইক)ব্আচ্ইক,
(ঝ্ও৺ক)ঝ্ও৺ক,
শম্ভ্আন্তশম্ভ্আন্ত
|
”
|
অহনলিপি-বাংলা১৪
ফন্টে সকল প্রজন্মের লিখনই লেখা যাবে, যদিও দ্বিতীয় প্রজন্মে
তা ত্রিস্তরই থাকবে, 3-tier. কিন্তু
তৃতীয় প্রজন্মে তা হবে দ্বিস্তর 2-tier, আর চূড়ান্তভাবে চতুর্থ প্রজন্মে লিখন হবে
ইংরেজির মতো একস্তর Monotier.
বাংলায় শোভন লিপি, বা আলংকারিক লিপি প্রায়
নেইই তার প্রধান কারণ হল, এর বিশাল যুক্তবর্ণ বাহিনী, আর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হল,
এর অধিক পরিমাণ হরফ সংখ্যা সেসব সামলে পূর্ণ বর্ণমালা সহ কিছু নতুন ফন্ট বাংলাতে
গঠিত হয়েছে তার একটু উদাহরণ দেখা যাক--
এর পরে বাংলা
লিখতে গিয়ে এর দমবন্ধ অবস্থার অবসান হবে সেসব কেমন হবে তার কিছু উদাহরণ নিচে দেখা
যাক, যদিও এই মুহূর্তে তা খুবই অদ্ভুত মনে হবে
বাংলা দ্বিতীয় প্রজন্মের লিখনরীতি ও অন্য
আরও অগ্রসর রীতির লেখা--
চার
প্রজন্মের লেখা --সাধারণ ফন্ট
চার
প্রজন্মের লেখা
--অহনলিপি-বাংলা১৪
ফন্ট
চার
প্রজন্মর লখা --অহনলিপি-বাংলা১৪ ফন্ট
চ্আর
প্রজন্ম্এর ল্এখ্আ --অহনলিপি-বাংলা১৪
ফন্ট
প্রজন্ম
|
লেখা
|
যুক্ত বর্ণ
বৈশিষ্ট্য
|
লিখন স্তর
|
মন্তব্য
|
প্রথম প্রজন্ম
|
রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর
প্রদত্ত
|
চলতি
মণ্ড হরফ
|
ত্রি-স্তরীয়
(3-tier)
|
সাধারণ
|
দ্বিতীয় প্রজন্ম
|
রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর প্রদত্ত
|
স্বচ্ছ
যুক্তবর্ণ
যৌক্তিভাবে ইংরেজি
লেখাকে ছাপিয়ে গেছে
|
ত্রি-স্তরীয়
(3-tier)
|
অগ্রগত
ইংরেজি
লেখাকে ছাপিয়ে যাওয়া
|
ত্রীতীয় প্রজন্ম
|
রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর প্রদত্ত
|
স্বচ্ছ
যুক্তবর্ণ
ত্রীতীয় প্রজন্মর
লখা
|
দ্বি-স্তরীয়
(2-tier)
|
আরও
অগ্রগত
|
চত্উথ প্রজন্ম
|
রব্ইন্দ্রন্আথ
ঠ্আক্উর
প্রদত্ত |
সম্পূর্ণ স্বচ্ছ যুক্তবর্ণ হরফ কেবল পর পর পাশাপাশি বসবে স্বরচিহ্ন নেই
ফলা নেই |
ইংরেজি লেখার
মতো
এক-স্তরীয়
(Monotier)
|
অতি
অগ্রগত বাংলা লিখন
|
উল্লেখ্য: রোমান
হরফে ইংরেজি লেখা সব সময়ে এক-স্তরীয়(Monotier)
প্রথম প্রজন্ম-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রদত্ত চার প্রজন্মের লেখা
দ্বিতীয় প্রজন্ম-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রদত্ত চার প্রজন্মের লেখা
ত্রীতীয় প্রজন্ম-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রদত্ত চার প্রজন্মর
লখা
চত্উথ প্রজন্ম-- রব্ইন্দ্রন্আথ ঠ্আক্উর প্রদত্ত
চ্আর
প্রজন্ম্এর ল্এখ্আ
এসব লেখা দেখে
আশ্চর্য, অদ্ভুত, অবাস্তব মনে হলেও
শতবর্ষ পরে তা
আর ততো অবাক মনে হবে না
চতুর্থপ্রজন্মের লেখায় অবশ্য “স্ফার” অর্থাৎ
‘এক ঝলকে দেখার পরিসীমা’ বৃদ্ধি পাবে, কারণ হরফ পাশাপাশি বসায় অনুভূমিক স্থান বেশি
লাগবে ফলে শব্দ পড়তে অভ্যাস করতে হবে যে কোনও শব্দ আমরা বানান করে পড়ি না, তা
দেখে একঝলকে তার পাঠ অভ্যাস অনুযায়ী পড়ি এজন্য একই ধরনের বানান হলে পড়তে ভুল হবার
আশংকা বেশি নয়তো ধীরে ধীরে ধরে ধরে শব্দ প্রায় বানান করে পড়তে হয় কলম কমল লিখলে
তা পড়ায় ভুলের আশংকা বাড়ে
বাংলা
ব্যঞ্জনবর্ণ সব সময়ে(অ থেকে ঔ), যে-কোনও একটি স্বরবর্ণের সাহায্যে উচ্চারিত হয়
তবে সাধারণভাবে তা অ-ধ্বনি সহযোগে উচ্চারিত হয়অ-এর কোনও বাহ্য-চিহ্ন নেই বলে,
ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে অ-এর উপস্থিতি দেখা/বোঝা যায় না নিচে যেমন এক-একটি ক্ষেত্রে
এক-একটি স্বরবর্ণ যোগে উচ্চারণ হচ্ছে, ‘অ’ বাদে বাকি স্বরবর্ণের চিহ্ন আছে বলে,
সেই সংযোগ সহজে বোঝা যায়
অ
|
আ
|
ই
|
ঈ
|
উ
|
ঊ
|
ঋ
|
এ
|
ঐ
|
ও
|
ঔ
|
া
|
ি
|
ী
|
ু
|
ূ
|
ৃ
|
ে
|
ৈ
|
ো
|
ৌ
|
|
ক
|
কা
|
কি
|
কী
|
কু
|
কূ
|
কৃ
|
কে
|
কৈ
|
কো
|
কৌ
|
কলিকাতা=ক্+অ, ল্+ি(=ই),
ক্+া(=আ), ত্+া(=আ)=কলিকাতা
লক্ষণীয়-- ক=ক্+অ, কিন্তু লি=‘ল্+অ+ই’ হবে না এটি হবে ল্+ই=ল+ি=লি
বাংলাদেশ
সরকার এই ধরনের সহজ লিখনরীতির দিকে ক্রমে অগ্রসর হচ্ছে
নিচে বিভিন্ন লিখন প্রয়াস লক্ষ্য করা যাক--
হরে কৃষ
হরে কৃষ কৃষ কৃষ
হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে
হরে
কৃষ হরে কৃষ
কৃষ কৃষ
হরে হরে
হরে রাম হরে রাম
রাম রাম হরে হরে
|
হরে
কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ
কৃষ্ণ
কৃষ্ণ হরে হরে
হরে
রাম হরে রাম
রাম
রাম হরে হরে
|
হরে
কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ
কৃষ্ণ
কৃষ্ণ হরে হরে
হরে
রাম হরে রাম
রাম
রাম হরে হরে
|
হরে
ক্রীশ্ন হরে ক্রীশ্ন
ক্রীশ্ন
ক্রীশ্ন হরে হরে
হরে
রাম হরে রাম
রাম
রাম হরে হরে
|
হরে
ক্রীশ্ন হরে ক্রীশ্ন
ক্রীশ্ন
ক্রীশ্ন হরে হরে
হরে
রাম হরে রাম
রাম
রাম হরে হরে
|
হর
ক্রীশ্ন হর ক্রীশ্ন
ক্রীশ্ন
ক্রীশ্ন হর হর
হর
রাম হর রাম
রাম
রাম হর হর
|
হর
ক্রীশ্ন হর ক্রীশ্ন
ক্রীশ্ন
ক্রীশ্ন হর হর
হর
রাম হর রাম
রাম
রাম হর হর
|
হর
ক্রীশ্ন হর ক্রীশ্ন
ক্রীশ্ন
ক্রীশ্ন হর হর
হর
রাম হর রাম
রাম
রাম হর হর
|
হর
ক্রীশ্ন হর ক্রীশ্ন
ক্রীশ্ন
ক্রীশ্ন হর হর
হর
রাম হর রাম
রাম
রাম হর হর
|
হর
ক্রীশ্ন হর ক্রীশ্ন
ক্রীশ্ন
ক্রীশ্ন হর হর
হর
রাম হর রাম
রাম
রাম হর হর
|
হর
ক্রীশ্ন হর ক্রীশ্ন
ক্রীশ্ন
ক্রীশ্ন হর হর
হর
রাম হর রাম
রাম
রাম হর হর
|
হর
ক্রীশ্ন হর ক্রীশ্ন
ক্রীশ্ন
ক্রীশ্ন হর হর
হর
রাম হর রাম
রাম
রাম হর হর
|
==========================================
দ্রষ্টব্য--
১বাংলা যুক্তবর্ণের প্রকৃতি নির্ধারণ, দেশ(৫৪বর্ষ, ৪০
সংখ্যা), ০১/০৮/১৯৮৭, কোলকাতা
২বাংলা যুক্তবর্ণের প্রকৃতি নির্ধারণ ও তা লেখার সাধারণীকরণ--সংকলন: অল ইন্ডিয়া ওরিয়েন্টাল কনফারেন্স (AIOC), ৩৩তম সেশন, ১৯৮৬ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সল্টলেক, কোলকাতা
৩বাংলা ইঞ্জিনীয়ারিং বর্ণমালা-- আজকাল(৩য়বর্ষ, ৩২১ সংখ্যা),
২১/০২/১৯৮৪, কোলকাতা
৪ ” ”
-- সারস্বত(ত্রৈমাসিক),[৮ম বর্ষ,২য় সংখ্যা,শারদ ১৩৮২,জুলাই-সেপ্টেঃ
১৯৭৫],কোলকাতা
৫বাংলা ইঞ্জিনীয়ারিং বর্ণমালা-- প্রসঙ্গ: বাংলাভাষা(বই),
পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, ২০/০৫/১৯৮৬, কোলকাতা
৬বাংলা ইউনিকোড ফন্ট-- জ্ঞান ও বিজ্ঞান(৬১ বর্ষ), জুলাই-আগস্ট-নভেম্বর
২০০৮, কোলকাতা
৭বাংলা বর্ণ তুলনাংক--সাহিত্য ও সংস্কৃতি(১১বর্ষ, ৪র্থ
সংখ্যা), জানু-মার্চ ১৯৭৬, কোলকাতা
৮লাইনো মেশিনে ছাপা বনাম সাধারণ ছাপা-- সাহিত্য ও সংস্কৃতি(১২
বর্ষ, ২য় সংখ্যা), জুলাই - সেপ্টেম্বর ১৯৭৬, কোলকাতা
৯সাক্ষরতা প্রসারে ছাত্রছাত্রীদের সম্ভাব্য ভূমিকা--পথসংকেত(২য়
বর্ষ,১সংখ্যা), ডিসেঃ১৯৭৬,কোলকাতা
১০বাংলাভাষায় “এ্যা” ধ্বনি-- সাহিত্য ও সংস্কৃতি(১৩ বর্ষ,২য়
সংখ্যা),জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৯৭৭,কোলকাতা
১১বাংলা ভাষায় বক্র আ-- ভাষা(২য়বর্ষ, ২য়সংখ্যা), মে-অক্টোবর
১৯৮৩, কোলকাতা
১২অ-বর্ণের জন্য নতুন প্রতীক প্রয়োজন-- সমকালীন(ডিসেম্বর
১৯৭৭), কোলকাতা
১৩প্রাথমিক শিক্ষা ও ইংরেজি--সত্যযুগ(দৈনিক) ২৮/০১/১৯৭৮, কোলকাতা
১৪বাংলা সংক্ষেপ
শব্দ --সাহিত্য ও সংস্কৃতি-(১৪ বর্ষ, ২য় সংখ্যা) জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৯৭৮ -কোলকাতা
১৫বাংলা স্বরবর্ণের সজ্জা-- আজকাল(৪র্থ বর্ষ, ২৪২ সংখ্যা),
০৪/১২/১৯৮৪, কোলকাতা
১৬বাংলাভাষা সংস্কারে বাধা কোথায়--সত্যযুগ(দৈনিক),[১৩বর্ষ,
৩৩৬ সংখ্যা] ৩০/১২/১৯৮৪, কোলকাতা
১৭বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের সজ্জা-- প্রমা,(৮ম বর্ষ, ২য় সংখ্যা),
জানু-মার্চ-১৯৮৬, কোলকাতা
১৮বাংলাভাষার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা:সমস্যা ও
প্রতিকার--গণশক্তি(২২বর্ষ,২৮৪সংখ্যা),১৫/১০/১৯৮৮, কোলকাতা
১৯বাংলাভাষা পরিকল্পনা-- সাহিত্য ও সংস্কৃতি(২৫বর্ষ, ৪র্থ
সংখ্যা), জানু-মার্চ ১৯৯০, কোলকাতা
২০বাংলা বানান:সংস্কার কাজ শুরু হোক-- নন্দন(৩৯বর্ষ, ৮ম
সংখ্যা), আগস্ট ২০০৩, কোলকাতা
২১বাংলা নতুন-বানান-- সৃষ্টিসন্ধান(ওয়েবসাইট), সফ্টওয়্যার
আপলোড, জুলাই ২০০৫, চন্দননগর
২২বাংলাভাষার সংকট: কী ও কেন-- আজকাল(২৫বর্ষ, ২৬৮সংখ্যা),
২১/১২/২০০৫, কোলকাতা
২৩বাংলাভাষার প্রাণচিহ্ন-- সৃষ্টিসন্ধান(ওয়েবসাইট), প্রবন্ধ,
গ্রীষ্ম ১৪১২?, চন্দননগর
২৪বাংলা বানান সংস্কার কাজ শুরু হোক--
সৃষ্টিসন্ধান(ওয়েবসাইট), প্রবন্ধ, ১৪১২, চন্দননগর
২৫চারুভাষা বাংলা--সৃষ্টিসন্ধান(ওয়েবসাইট), প্রবন্ধ, জানুয়ারি
২০০৬ শীত সংখ্যা, চন্দননগর
২৬ ” -- বাক্প্রতিমা, আন্দামান(এখান থেকে
সৃষ্টিসন্ধান ওয়েবসাইটে প্রকাশিত)
২৭ই-মেল করো বাংলায়-- আনন্দমেলা(৩২বর্ষ, ৮সংখ্যা), ডিসেম্বর
২০০৬, কোলকাতা, প্রযুক্তি রচনা
২৮যুক্তবর্ণ:বাংলা শিক্ষায় চোরাবালি-- আজকাল(২৭বর্ষ,
১৩৮সংখ্যা), ১০/০৮/২০০৭, কোলকাতা
২৯বাংলা লেখা কেমন হবে-- বহু পর্বে প্রকাশিত লেখা, বাভাস, জুন
২০১১-- থেকে জানুঃ২০১৮, কোলকাতা
৩০ওয়েবে বাংলা-- সাহিত্যের ইয়ারবুক(দশম বর্ষ), জানুয়ারি ২০১২,
কোলকাতা
৩১বাংলা লেখা ছাপিয়ে গেল ইংরেজিকে--মাতৃভাষা(নববর্ষ,
মার্চ-এপ্রিল ২০১৫), ছত্তিশগড়
৩২বাংলা বানান প্রসঙ্গে-- আজকাল(৩৫বর্ষ, ২৭৮ সংখ্যা),
০২/০১/২০১৬, কোলকাতা
৩৩বাংলা বানান প্রসঙ্গে-- সম্প্রীতি, (১৬বর্ষ), ২০১৬,
চন্দননগর
৩৪বাংলা নিয়ে ভাবনা বাসনা-- অভিমুখ(৪র্থ বর্ষ, ১ম
সংখ্যা),জানু--এপ্রিল ২০১৭, সিউড়ি, বীরভূম
৩৫ভাষাটির নাম বাংলা-- নবকল্লোল(৫৭বছর, ১২ সংখ্যা),
মার্চ-এপ্রিল ২০১৭, কোলকাতা
৩৬কোন
হরফ কত বার-- সংবাদ নজর(১ম বর্ষ, ২৪৪সংখ্যা), ৩ এপ্রিল,২০১৮ কোলকাতা
==========================================
পরিমার্জন ১৬/০৮/২০১৮
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন